বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর মাধ্যমে বিসিবিতে শীর্ষ পদটি এখন শূন্য। কে হবেন নতুন সভাপতি—এ নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। আলোচনায় সবচেয়ে বেশি উঠে আসছে আরেক সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নাম।
এর আগে, বুধবার ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে পরিচালক পদ থেকে সরিয়ে দিতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে চিঠি দেন বিসিবির ৮ পরিচালক।
সেই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন- বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম, মাহবুব আনাম, ফাহিম সিনহা, সাইফুল ইসলাম স্বপন চৌধুরি, ইফতেখার রহমান মিঠু, কাজী ইনাম আহমেদ, মঞ্জুর আলম এবং মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন চৌধুরী। তবে স্বাক্ষর করেননি সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান।
তবে এসব অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, চিঠির কোনো ভিত্তি নেই। যারা দীর্ঘ সময় অন্যায়ের সঙ্গে থেকেছে, তারাই এখন আমার বিরুদ্ধে কথা বলছে।
এর আগে, ২৮ মে রাতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসেন ফারুক। সেখানেই তাকে জানানো হয়, সরকার আর তাকে বিসিবির নেতৃত্বে দেখতে চায় না। তবে ফারুক জানান, তিনি পদত্যাগ করবেন না।
‘সরকার আমাকে কেন অপসারণ করতে চায়, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। শুধু বলল, আমাকে আর রাখা হবে না। বিনা কারণে তো পদত্যাগ করতে পারি না’— বলেন ফারুক।
এর মধ্যেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রজ্ঞাপনে বাতিল করা হয়েছে ফারুক আহমেদের পরিচালক মনোনয়ন। ফলে বিসিবি সভাপতির পদ থেকেও তিনি বিদায় নিতে বাধ্য হচ্ছেন।